চট্টগ্রামে হঠাৎ লাইট-ফ্যানের দাম বেড়ে গেছে, লোডশেডিংই পুঁজি
মুন্নি আক্তার, স্টাফ রিপোর্টার :
দেশজুড়ে জুলাই মাস থেকেই শুরু হয়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। তার ওপর তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। লোডশেডিং এবং গরমের হাত থেকে বাঁচতে চার্জিং লাইট ও ফ্যানের দোকানে ভিড় করছে মানুষ। আর এ সুযোগে লাইট, ফ্যানসহ ব্যাটারির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। নিরুপায় হয়ে বাড়তি দামেই এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
আবার অনেকেই নষ্ট চার্জিং লাইট ও ফ্যান মেরামতের জন্য ভিড় করছেন বিভিন্ন মেকানিকের দোকানে।
চট্টগ্রাম নগরীর রাইফেল ক্লাব, রিয়াজউদ্দিন বাজার, সিডিএ মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং সঙ্গে তীব্র দাবদাহের কারণে কিছু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়েছে ব্যাটারিসহ চার্জিং লাইট ও ফ্যানের।
প্রতিটি চার্জিং ফ্যানের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ব্যাটারির দাম বেড়েছে প্রতি ডজনে ৭থেকে ১০ টাকা, টর্চলাইটের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা। ব্যাকআপ লাইটের দাম বেড়েছে ২০ টাকা করে।
চট্টগ্রামের রাইফেল ক্লাব মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে চার্জিং লাইট, ফ্যানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণার পর চার্জিং লাইট ও ফ্যানের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কেটে এখন এসবের ক্রেতা বেশি। এ কারণেই প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী নরেণ সাহা বলেন, ‘সোমবার ঘোষণার পর লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসায় ছোট বাচ্চারা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। সেজন্য ব্যাকআপ লাইট ও চার্জিং ফ্যান কিনেছি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দোকানদাররা এগুলোর দামও বাড়িয়েছে।’
কথা হয় নষ্ট চার্জিং ফ্যান ঠিক করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মকর্তা এমএ সাইদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ঘরবন্দী জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। সঙ্গে ইলেকট্রনিক ডিভাইসয়ের দামও তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য বাসায় অনেক দিন ধরে নষ্ট চার্জিং ফ্যানটা ঠিক করাতে আনলাম। এটা ঠিক করালে কোনোভাবে আমাদের চলে যাবে। তাই ঠিক করাতে এনেছি।’
Leave a Reply