কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামে জনসভায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কক্সবাজার প্রতিনিধি শয়ন দে অপূর্ব।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আছে বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি। আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চাই।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজারে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিকাল ৩টা ৫২ মিনিটে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পরেও কোন মানুষের জন্য কষ্ট না হয় সেজন্য যেখান থেকে পাওয়া যায় খাদ্যপন্য, ভোজ্য তেল আনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এই মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে নিজেদের মন্দা আক্রান্ত ঘোষনা করেছে। সেখানে আমাদের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী আছে। ব্যাংকে টাকা আছে। এক জন মানুষেরও খাবারের কষ্ট হবে না। জাতির পিতার কন্যা যতদিন আছি, কারো কোন কষ্ট হবে না
তিনি বলেন, জামাত, বিএনপি এদেশের মানুষকে হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, লুটপাট ছাড়া কিছুতে পারেনি। তাদের আন্দোলন মানেই মানুষ খুন আর অগ্নিসন্ত্রাস। মূল্যস্ফিতীর মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ বিশ্বের মন্দা আক্রান্ত হলেও আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী আছে। একজন মানুষেরও খাবারের কষ্ট হবে না।যতক্ষন ক্ষমতায় আছি আপনাদের ভালমন্দ দেখার দায়িত্ব আমার।
তিনি আরও বলেন, যারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসে মদদ দেয়, টাকা পাচার করে, মানুষকে পুড়িয়ে মারে। বাস, ট্রেন, লঞ্চে আগুন দেয়। তারা মানুষের জন্য কিছু করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের লবন চাষীদের উন্নয়নে লবন বোর্ড, ছয়টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঘূর্নীঝড়সহ জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য খুরুশকুলে সবচেয়ে বড় আশ্রয়ন প্রকল্প, রেল লাইন সড়কসহ পরিকল্পিত ভাবে উন্নয়নের জন্য কক্সবাজারে উন্নয়ন কতৃপক্ষ করা হয়েছে। মহেশ খালি এক সময় সিঙ্গাপুরের চেয়ে সুন্দর হবে।
জামাত বিএনপি এদেশের মানুষকে হত্যা, সন্ত্রাস, খুন, অগ্নিসন্ত্রাস, মানিলন্ডারিং, লুটপাট ছাড়া কিছু দেয়নি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন বলেই উন্নয়ন করতে পেরেছি। আপনাদের ভোট বৃথা যায়নি।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা কেউ কক্সবাজারের জন্য কিছু করেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগই কক্সবাজারের উন্নয়ন করেছে।
এর আগে একইদিন সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের ইনানি সৈকতে পৌঁছালে রাষ্ট্রীয় সালামের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। ঐতিহ্যবাহী শিপস বেল বাজিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, সরকার প্রধান। তথন সাগরে শুরু হয় বর্ণিল মহড়া। এদিন জনসভায় যোগদানের পাশাপাশি এখান থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কক্সবাজার জেলার ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে পর্যটন শহর কক্সবাজারে এখন উৎসবের আমেজ। আওয়ামী লীগের জনসভা এবং শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে বর্ণিল সাজে সেজেছে গোটা শহর। বরাবরের মতো নৌকা প্রতিকৃতির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে জনসভা মাঠে। লাল-সবুজ রঙিন নৌকায় সাজানো হয়েছে স্টেডিয়ামের পাশের জলাধার।
প্রায় সাড়ে ৫ বছর কক্সবাজারে শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা।এদিকে জনসভা মাঠকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েক হাজার সদস্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
Leave a Reply