আসছে ঘূর্ণিঝড় মোচা, বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অফিস তথ্যমতে

নিজেস্ব প্রতিবেদক:-টুটুল কর্মকার।

দেশের আবহাওয়া অফিসের ধারণা মতে, লঘুচাপটি আগামী ৮-৯ তারিখ সকালের মধ্যে সৃষ্টি হতে পারে। তবে সত্যিই যদি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয় আর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় তবে এই ঘূর্ণিঝড়েরর নাম হবে ‘মোচা’আগামী দু’এক দিনের মধ্যে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণি বায়ুর আবর্তন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।শনিবার (৬ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।মে মাস হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস। এই মাসে ১৮৯১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৬৫ টি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এই মাসে যেসব ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় সেগুলো সাধারণত মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করে থাকে। অতীত রেকর্ড তাই বলছে। তবে কিছু কিছু ঘূর্ণিঝড় ভারত এবং বাংলাদেশের হাতিয়া, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে আঘাত করে বলেও জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।সংস্থাটি জানায়, ঘূর্ণি বায়ুর আবর্তনের প্রভাবে আগামী ৮ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এই লঘুচাপকে যথেষ্ট শক্তিমাত্রা অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে হবে। তারপর তাকে আরও শক্তিমাত্রা অর্জন করে নিম্নচাপে পরিণত হতে হবে। এরপর গভীর নিম্নচাপ। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত সাগরে কোনো লঘুচাপ সৃষ্টি হয়নি।এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আগামীকাল ৭ তারিখ এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে সরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে চলে যাবে। এদিন এই সিস্টেমটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সঙ্গে বৃষ্টিও হবে।