সীতাকুণ্ড ইন্দ্রপাহাড়ে,ইন্দ্র রাজার বাড়ি সন্ধান ।
অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট লেখক ওসমান গনি এনু।
দীর্ঘ নয় বছর পর ওয়াহেদ পুর ইন্দ্রপাহাড়ে উঠলাম, আমার আবিষ্কৃত’ইন্দ্র রাজার বাড়ি” দেখতে চেয়ে আমাকে অনুরোধ করে মিরসরাই এর একঝাঁক দেশপ্রেমিক তরুণ, যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে মুজাহিদুল ইসলাম। আজ ভোরে আমার লোকজন নিয়ে ইন্দ্রপাহাড়ের চূড়ায় উঠে খনন কাজে রত অবস্থায় তারা পৌঁছে,।আমরা সবাই মিলে খননকার্য করি,ছবি ওঠাই,ভিডিও করি এবং খোলাজালিয়ে পিঠাদিয়ে নাস্তা করি।
আজ নিজেকে কিছুটা ভারমুক্ত মনে হচ্ছে,আমি এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্হাপনা আবিষ্কার করার পর”ইন্দ্র রাজার বাড়ি,প্রত্নতাত্ত্বিক বিস্ময়”
বইটি লিখে জনসমক্ষে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেই দু হাজার ষোল সালে,কিন্তু তেমন সাড়া পাইনি, যাদের কে বইটি হাতে দিয়ে আলোচনা করতে দিয়েছিলাম তারা ইচ্ছে করে আমার এই কষ্টের কাজকে মর্যাদা দিতে চাননি, একজন প্রয়াত অধ্যাপক আহমদ কবীর সাহেব, অন্য জন ড: আবুল কাশেম, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কবি আরিফ চৌধুরী, যিনি ইচ্ছে করে ইন্দ্র রাজার বাড়ি প্রত্ন তাত্ত্বিক আবিষ্কারের কথা না লিখে ,শুধু চট্টগ্রামের প্রত্ন সম্পদ রক্ষা জরুরি বলে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন।
আজ যেসব উদ্যোমি তরুণ একান্ত আগ্রহ ভরে পাহাড়ের এক হাজার ফুট উপরে এসে খননকার্য প্রত্যক্ষ করে ভিডিও এবং ছবি নিয়ে গেল তারা ভবিষ্যত মিরসরাই কে ঐতিহ্যের এক অনন্য উচ্চতায় দেখতে চায় বলে আমাকে জানিয়েছে,আমিতো এটাই চাই, নতুন কেউ এগিয়ে আসবে এই গবেষণায়,পুরো ঈন্দ্রটিলা খনন করে একদিন আমার আবিষ্কার স্বীকৃত হবে এই বাংলাদেশে এবং “ইন্দ্র রাজার বাড়ি “হবে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। হয়তো তখন আমি থাকবো না ,
থাকবে মুজাহিদরা থাকবে আমার সন্তানরা, আর থাকবে দেশের কোটি কোটি মানুষ যাদের জন্য আমার এই পরিশ্রম ও সাধনা।
Leave a Reply