শুভ জন্মদিন বাবা
কলমেঃ-শান্তনু মিত্র
৯০ এর দশকে দেশের উত্তাল রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকার কারনে বাবাকে আমরা কাছে খুব কম পেয়েছি,আমাদের লেখাপড়া কিংবা ঘরের নিত্যদিনের চাওয়া পাওয়াতেও তাকে কাছে পাইনি বললেই চলে,কিন্তু আমরা দেখেছি সারাদিন রাজনৈতিক কর্মকান্ড সেরে যখন রাত ১২ টার পর ঘুমিয়েছে তখনই কেও খবর দিল কেউ অসুস্থ, দ্বিধাহীন চিত্তে ছুটে গেছেন অসুস্থজনকে নিয়ে হাসপাতালে, কিংবা কখনও ছুটেছেন কারও মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে, আবার কখনও দেখেছি ছুটতে বস্তিতে লাগা আগুন নেভাতে, ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের সাহায্যে, কারও অসুখ, তার আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন, যতটুকু নিজের সামর্থ্য আছে তা দিয়ে আরও কিছু বাড়তি সাহায্য সংগ্রহ করে দেওয়ার আশায় নির্লজের মতো ছুটেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে, রাজনৈতিক কোন বড় পদে না থাকলেও বড় বড় মানুষের পদচারণা ছিলো আমাদের দেড় রুমের ছোট্ট ঘরে, কারও মেয়ের বিয়ের সাহায্য, কারও শ্রাদ্ধের টাকার জন্যে সাহায্য, কারও লেখাপড়ার সাহায্য, কারও নতুন চাকুরি যোগার করে দেওয়া ইত্যাদি মানুষের স্বপ্ন পুরণ করতে নিজেকে উজাড় করে দিতে দেখেছি । গত ৫ বছর ধরে তিনি বেশ অসুস্থ। এত অসুস্থতার মধ্যেও রাজনৈতিক,ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর নিরন্তর ছুটে চলা অব্যাহত ছিলো, কিন্তু করোনার কারনে গত বছর থেকে,বাবাকে আমরা ঘরে একপ্রকার আটকে রেখেছি, তাই বাবার উপর যথেষ্ট বিমর্ষতা ভর করেছে,অবশ্য এই বিমর্ষতার শুরু তাঁর প্রিয় নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকেই, এরই মধ্যে আমাদের সন্তানেরা মানে বাবার নাতি নাতনিরা তো বাবার সান্নিধ্য বেশ উপভোগ করছে আমরাও বাবাকে অনেক বেশি বেশি কাছে পাচ্ছি,
এমন করে অনন্তকাল কাছে পেতে চাই বাবা।
“শুভ জন্মদিন বাবা অমল মিত্র”
Leave a Reply