1. sajalnath8181@gmail.com : admin2020 :
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

রবিরশ্মি” অনুষ্ঠানে বক্তারা: সংগীত শিল্পীরা সমাজের আলোকবর্তিকা

যীশু সেন
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ৬৪ বার পঠিত

“রবিরশ্মি” অনুষ্ঠানে বক্তারা: সংগীত শিল্পীরা সমাজের আলোকবর্তিকা।
যীশু সেন, বিশেষ প্রতিনিধি :

সংগীত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞানের আদান-প্রদান ও মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মানুষের মনকে শুদ্ধ করে, সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং জাতীয় ঐক্য গঠনে সহায়তা করে। সংগীত উৎসব, মিলনমেলা ও আচার-অনুষ্ঠানে সংগীতের ভূমিকা অপরিসীম। সংগীতের মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের কৃষ্টি ও ইতিহাসকে সযত্নে লালন করে। তাই বলা যায়, সংগীত মানুষের আত্মার ভাষা, যা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে যুগ যুগ ধরে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সংগীত সমাজ ও সংস্কৃতির শক্তিশালী বাহক। সংগীত শিক্ষা মানুষের মন ও মেধার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি সৃজনশীলতা বাড়ায়, শৃঙ্খলা শেখায় এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়। একজন সংগীত শিল্পী কেবল সুরের জাদুকরই নন, তিনি সমাজ ও জাতির দিকনির্দেশকও বটে। দেশপ্রেম জাগাতে দেশাত্মবোধক গান বড় ভূমিকা রাখে, যা মানুষের হৃদয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে। সংগীত শিল্পীরা তাঁদের কণ্ঠ ও সুরের মাধ্যমে মানুষের মন জাগিয়ে তোলেন, ঐক্য ও প্রেরণা ছড়িয়ে দেন। তাঁদের অবদান জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গঠনে অপরিসীম ও চিরস্মরণীয়।
রবীন্দ্র সংগীত চর্চার ধারাবাহিকতায় ও শিল্প-সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে “রবিরশ্মি” চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে গত ২০শে জুন শুক্রবার বিকাল ৫:০০টায় চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র সংগীত সন্ধ্যায় “হৃদয় বিমল হোক, প্রাণ সবল হোক” এই শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন “রবিরশ্মি” চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক রূপম কুমার নাথ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রাবন্ধিক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি অরূপ রতন চক্রবর্তী, “রবিরশ্মি”র প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের সুরকার ও সংগীত পরিচালক অধ্যাপক মহাদেব ঘোষ।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয়
গীতধ্বনি সঙ্গীত নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী কিরীটি রণ্জন বড়ুয়া (মরনোত্তর), বিশিষ্ট সংগীতশিক্ষক ও সুরেন্দ্র বিদ্যাপীঠ আর্য্য সংগীতের শিক্ষক শিল্পী প্রদীপ দাশকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু।
সংগীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন –

“রবিরশ্মি” চট্টগ্রাম শাখার শিল্পীবৃন্দ, যাঁদের সুললিত কণ্ঠে ফুটে ওঠে রবীন্দ্র ভাবনার গভীরতা ও সৌন্দর্য। সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি ছিল নৃত্য পরিবেশনা, যা অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। এছাড়া অতিথি সংগঠন হিসেবে অংশ নেয় গীতধ্বনি সংগীত অঙ্গন, অদিতি সংগীত নিকেতন ও শ্রুতিনন্দন সংগীত নিকেতন। নৃত্যাংশে অংশগ্রহণ করে ওড়িশী এণ্ড টেগর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টারের শিল্পীবৃন্দ (পরিচালনায় প্রমা অবন্তি), অদ্বিতীয়া নৃত্যাঙ্গনের শিল্পীবৃন্দ (পরিচালনায় অদ্বিতীয়া দেবী) এবং অদিতি সংগীত নিকেতন নৃত্য বিভাগের শিল্পীবৃন্দ (পরিচালনায় রিয়া দাশ চায়না)।

একক সংগীত পরিবেশন করেন রূপম কুমার নাথ, রুম্পি চৌধুরী, মম দাশ, ডা. নওশাদ খান, প্রণব সিকদার, ডা. অপর্ণা দাস, মিম দাশ, স্নিগ্ধা বড়ুয়া, রাহেলা বেগম, প্রিয়াংকা বড়ুয়া মলি, চম্পা বিশ্বাস, জ্যোতি সিকদার, অরিত্র দেবী, সুমন কান্তি সেন, মনস্বিতা চৌধুরী, প্রনিধি মজুমদার প্রমূখ। যন্ত্রের সহযোগিতা ছিলেন বেহালায়- শ্যামল চন্দ্র দাস, কিবোর্ডে- নিখিলেশ বড়ুয়া, তবলায়- পলাশ দেব, বাঁশিতে প্রাণেশ ভট্টাচার্য ও অক্টোপ্যাডে – মোহন চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনায় শিল্পী মহাদেব ঘোষ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিল্পী রূপম কুমার নাথ ও প্রণব সিকদার। সংগীত ও নৃত্যের এই সন্ধ্যাটি শুধু শিল্পানুরাগীদের জন্য নয়, বরং সমাজের সকল স্তরের মানুষের হৃদয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবেদন নতুনভাবে জাগিয়ে তোলে। “রবিরশ্মি” চট্টগ্রাম শাখার এই আয়োজন রবীন্দ্র ভাবনার প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে নিঃসন্দেহে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..


© কথা৭১.টিভি দ্বারা সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত।
themesbazarkotha71254