চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে উৎযাপিত একুশে ফেব্রুয়ারি বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদ হওয়া ভাষাসৈনিক দের উদ্দেশ্যে বাদ ফজরে বিশেষ মোনাজাত এর আয়োজন করে চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ মসজিদ কমিটি ও শিক্ষকমন্ডলী।
সকাল ৬:৩০ ঘটিকায় কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে কলেজের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মূল আনুষ্ঠানিকতার যাত্রা শুরু হয়। এরপর ৭:৫০ ঘটিকায় কলেজের স্কুল,কলেজ ও অনার্স শাখার ছাত্রছাত্রীদের আগমন ঘটে এবং ৮:০০ ঘটিকায় কলেজের ২য় খেলার মাঠ হতে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়।কর্ণেল মুজিবুল হক শিকদার,পিজিবিএম ,অধ্যক্ষ (চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ) মহাদয়ের নেতৃত্বে ২য় খেলার মাঠ হতে প্রভাতফেরির যাত্রা শুরু হয় এবং কলেজ ক্যাম্পাস,কলেজ সংলগ্ন ডিওএইচএস আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে এর সমাপ্তি ঘটে।প্রভাতফেরি তে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কন্ঠে ছিল “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি” গান টি।৮:১৫ ঘটিকায় অধ্যক্ষ মহোদয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম। বিভিন্ন শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রী তাদের শ্রেনী শিক্ষকের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ৮:৪০ ঘটিকায়।
উদ্ধোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় কর্নেল মুজিবুল হক শিকদার, পিজিবিএম। প্রথমেই শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।এতে একুশে চেতনা সমৃদ্ধ গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন কলেজের বিভিন্ন শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা।অতঃপর ০৯:৪০ ঘটিকায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার বিতরণী। অধ্যক্ষ মহোদয় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ পুরস্কার ও মূল্যবান বই তুলে দেন।
এরপর ৯:৫০ ঘটিকায় অধ্যক্ষ মহোদয় সমাপনী ভাষণ প্রদান করেন এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। অবশেষে ১০:০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির” সভাপতি হোসনে শামীম, সহযোগী অধ্যাপক।
উৎযাপিত অনুষ্ঠান মালা ছিল প্রানপ্রাচুর্যে ভরপুর। তবে ছাত্র শিক্ষক সকলেই সচেতন ছিলেন যাতে ভাষাশহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উৎযাপন কে ভাবগাম্ভীর্য ও সার্থকতামন্ডিত করা যায়।
Leave a Reply