ত্রি কলা সংগীত একাডেমী: এক সৃজনশীলতার আলোকধারা।
ত্রি কলা সংগীত একাডেমী, যা সেন্ট টমাস টিউটোরিয়াল,চট্টগ্রাম কোতোয়ালিস্থ ১১২ নং হেমসেন লাইনে অবস্থিত, আমাদের অঞ্চলের একটি সৃজনশীল শিক্ষার কেন্দ্র। এখানে গান, নাচ, চিত্রাঙ্কন, গিটার, উকুলেলে এবং তবলার মতো শিল্পকলার প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন প্রজন্মের প্রতিভা বিকাশের কাজ করা হয়। এটি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং সৃষ্টিশীলতায় ভরপুর একটি পরিবার, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস এবং শৈল্পিক দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ পায়।
আজকের এই বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের প্রতিভা প্রদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। সারা বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের ফলাফল আজকের এই পরীক্ষায় ফুটে উঠেছে। একাডেমীর পরিচালনায় রয়েছেন অধ্যক্ষ এবং সংগীত প্রশিক্ষক সোমা দেবী এবং উপাধ্যক্ষ ও নৃত্য প্রশিক্ষক মৌসুমী দেবী, যাঁরা তাদের দক্ষতায় পুরো প্রতিষ্ঠানকে এক সফল পথে পরিচালিত করছেন। আজকের অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন শ্রদ্ধেয় সংগীত প্রশিক্ষক রুবেল বড়ুয়া, চিত্রাঙ্কন শিক্ষিকা মেঘলা দাস, তবলা প্রশিক্ষক সেতু ধর, গিটার প্রশিক্ষক বিজয় দাস এবং নৃত্য শিল্পী জয়া দেবী। তাঁদের প্রশিক্ষণ এবং নির্দেশনার ফলেই শিক্ষার্থীরা প্রতিভার প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছে।
এই প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলরতন দাশগুপ্ত। তাঁর তত্ত্বাবধান, পরামর্শ এবং প্রেরণা একাডেমীর প্রতিটি দিককে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি শুধু প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা নন, তিনি একাডেমীর প্রতিটি শিক্ষার্থী এবং প্রশিক্ষকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
ত্রি কলা সংগীত একাডেমীর শিক্ষার্থীরা শুধু শিল্পকলায় পারদর্শী নয়, তারা শৃঙ্খলা, মানবিকতা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রেও সমানভাবে সমৃদ্ধ। প্রতিটি শিক্ষার্থী এখানে শিল্পকলার মাধ্যমে নিজের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে পায় এবং এক নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখে।
আমরা গর্বিত যে ত্রি কলা সংগীত একাডেমী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং একটি উন্নত শিল্পসমৃদ্ধ সমাজ গঠনে অবদান রাখছে। আমরা আশাবাদী, এ প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতেও তার আলোকিত পথচলা অব্যাহত রাখবে এবং সারা দেশের মধ্যে সৃজনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
Leave a Reply